রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকাটি বর্তমানে নগরবাসীর জন্য আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার পতনের পর থেকে সেখানে প্রতিনিয়ত ছিনতাই, চাঁদাবাজি, গোলাগুলি এবং হত্যার মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে এবং মানুষকে আতঙ্কিত করছে। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যৌথ বাহিনী ওই এলাকায় অভিযান চালিয়েছে।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে যৌথ বাহিনী মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, চাঁদ উদ্যান এবং নবোদয় হাউজিং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় বাহিনী ৪৫ জনকে আটক করে, যারা ছিনতাই, চাঁদাবাজি এবং কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। এই অভিযান মোহাম্মদপুরবাসীর জীবনে স্বস্তি ফেরানোর উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছিল।
এই ধরনের অভিযান নগরবাসীর মাঝে কিছুটা হলেও নিরাপত্তার অনুভূতি ফেরাতে সহায়ক বলে মনে করা হচ্ছে।
মোহাম্মদপুর এলাকায় পরিচালিত অভিযানে সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ২৩ ইস্ট বেঙ্গল, র্যাব এবং পুলিশ একত্রিতভাবে অংশগ্রহণ করেছে। এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন মোহাম্মদপুর সেনাবাহিনী ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন যে, অভিযানে আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৯টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেছেন যে, সন্ত্রাস দমন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থান ধরে রাখবে।
এই ধরনের অভিযান নগরবাসীর নিরাপত্তা বাড়াতে এবং অপরাধীদের দমনে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।