ফরিদপুরে ছাত্রলীগের রাজনীতির একটি জটিল এবং সংক্ষিপ্ত বিবরণ হলো—এই সংগঠনটি শুরুতে একটি গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠলেও নব্বইয়ের দশকের পর থেকে এর বেশ কিছু নেতাকর্মী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। তারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, জমি দখল, টেন্ডারবাজি এবং মাদক কারবারের মতো কাজে লিপ্ত হয়, যা সংগঠনের মূল আদর্শ থেকে বিচ্যুত করে।
ছাত্রলীগের এই ধ্বংসাত্মক পরিবর্তনের জন্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং সাবেক এমপি আবদুর রহমানের রাজনৈতিক প্রভাবকে বিশেষভাবে দায়ী করা হয়। একই সময়ে যুবলীগও সন্ত্রাসের প্রতিযোগিতায় নামে, যা ফরিদপুরের রাজনীতিকে আরও কলুষিত করে তোলে।
ফরিদপুরের ছাত্রলীগের এই সন্ত্রাসী রূপান্তর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শান্তি এবং শিক্ষার পরিবেশকে বিনষ্ট করেছে, এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
ফরিদপুরে ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কার্যকলাপের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যা প্রাথমিকভাবে দেশপ্রেমিক আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিল, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে অনেক নেতাকর্মী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। নব্বইয়ের দশকের পরে, সংগঠনটি বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যেমন টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, জমি দখল, এবং মাদক ব্যবসার মতো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ওঠে। বিশেষত ২০১০ সালের পর থেকে সংগঠনের নেতৃত্বে বেশ কিছু নেতারা নিজেদের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং ক্ষমতার জন্য প্রতিযোগিতা ফরিদপুরের রাজনীতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশকে আরও অবনতির দিকে নিয়ে গিয়েছে। রুকসু ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি ভবনকে দখল করে ছাত্রলীগের কিছু নেতারা মাদক কারবার ও অন্যান্য অপরাধের আখড়া হিসেবে ব্যবহার করেছে।
এই সমস্ত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ফরিদপুরের ছাত্রলীগ ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে এবং এর নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ উঠেছে। তবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এখনো পর্যন্ত পর্যাপ্তভাবে নেওয়া হয়নি।
4o